রোগে-ব্যাধিতে গুনাহ ঝরে
মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সহসাই যে কারো বিপদ-আপদ আসতে পারে। আর এটার বিভিন্ন রকম ও ধরন রয়েছে। মানুষ কখনো রোগে-শোকে কাতর হয় আবার কখনো অর্থকষ্টে জর্জরিত হয়। তা যেমনই হোক, মুমিন ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তাআলা বিনিময়ে বান্দার গুনাহ মাফ করেন, কখনো মর্যাদা বাড়িয়ে দেন আবার কখনো দুটো দান করেন।
মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সহসাই যে কারো বিপদ-আপদ আসতে পারে। আর এটার বিভিন্ন রকম ও ধরন রয়েছে। মানুষ কখনো রোগে-শোকে কাতর হয় আবার কখনো অর্থকষ্টে জর্জরিত হয়। তা যেমনই হোক, মুমিন ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তাআলা বিনিময়ে বান্দার গুনাহ মাফ করেন, কখনো মর্যাদা বাড়িয়ে দেন আবার কখনো দুটো দান করেন।
★সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিন যে ধরনের বিপদেই আক্রান্ত হোক, এমনকি কাঁটা বিঁধলেও বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা একটি নেকি লেখেন অথবা একটি গুনাহ মাফ করে দেন।’ (মুসলিম : ২৫৭২; মুসনাদে আহমাদ : ১৬৫৬০)
★একদা বিশ্বনবী (সা.) প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এলেন। তখন নবী (সা.) বললেন, ‘মুমিন যখন কোনো (বিপদ) কষ্টে আক্রান্ত হয় তখন আল্লাহ বিনিময়ে তার গুনাহগুলো (ঝরিয়ে দেন) মাফ করে দেন; যেমন (শীতকালে) গাছের পাতা ঝরে পড়ে।’ (মুসলিম : ৫৬৪৭)
★শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) ও সুনাবিহী (রা.) এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছেন? তিনি উত্তরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘আল্লাহর নিয়ামতের মধ্যে আছি।’ তা শুনে শাদ্দাদ (রা.) বললেন, তুমি গুনাহর কাফফারা ও পাপমোচনের সুসংবাদ গ্রহণ করো। কারণ, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, “আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি যখন আমার কোনো মুমিন বান্দাকে বিপদে আক্রান্ত করি, আর এ অবস্থায় সে আমার প্রশংসা করে, তখন সে (রোগের) বিছানা থেকে সেদিনের মতো পাপমুক্ত হয়ে ওঠে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ এবং আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, ‘আমিই আমার বান্দাকে (আমল থেকে) বিরত রেখেছি এবং পরীক্ষায় ফেলেছি, সুতরাং সে সুস্থ অবস্থায় যে নেক আমল করত, এ অসুস্থ অবস্থায়ও সে নেক আমলের সওয়াব লিখতে থাকো। (মুসনাদে আহমাদ : ১৭১১৮)
★আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী বিপদাক্রান্ত হতে থাকে; সে কখনো শরীর, কখনো সম্পদ ও কখনো সন্তান-সন্ততির বিপদে আক্রান্ত হয়। (এসব বিপদে মুমিন ধৈর্য ধারণ করে, ফলে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ মাফ করতে থাকেন।) একপর্যায়ে সে গুনাহমুক্ত হয়ে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৭৮৫৯)
মহান আল্লাহ আমাদেরকে আকস্মিক বিপদ আপদে ধৈর্য্য ধারণকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন এবং সবাইকে নিরাপদে রেখে তাঁর ইবাদাতের তাওফিক দিন। আমিন