অনলাইনে হাদীসের দারস ও আমার ভয়
ইলম বা ইসলামী জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ। ইহা রাসুল (সাঃ) এর অমিয় বাণী। আলিমগণই নবীগণের ওয়ারিস। তারা ইলমের ওয়ারিস হয়েছেন। তাই যে ইলম হাসিল করে সে বিরাট অংশ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
ইলম বা ইসলামী জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ। ইহা রাসুল (সাঃ) এর অমিয় বাণী। আলিমগণই নবীগণের ওয়ারিস। তারা ইলমের ওয়ারিস হয়েছেন। তাই যে ইলম হাসিল করে সে বিরাট অংশ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
ইলম শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতার ফযীলতঃ
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ অর্থাৎ- ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই তাকে ভয় করে।’ (৩৫ঃ ২৮)।
আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেনঃ وَمَا يَعْقِلُهَا إِلاَّ الْعَالِمُونَ “আলিমগণ ছাড়া তা কেউ বুঝেনা”।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছেঃ وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ অর্থাৎ- ‘তারা বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামী হতাম না। (৬৭ঃ ১০)।
আরো ইরশাদ করেনঃ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ “বল, যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (৩৯ঃ ৯)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যায়নের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয়। আবু যার (রাঃ) তাঁর ঘাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, যদি তোমরা এখানে তরবারি ধর, এরপর আমি বুঝতে পারি যে, তোমরা আমার ওপর সে তরবারী চালাবার আগে আমি একটু কথা বলতে পারব, তবে আমি যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি, তবে অবশ্যই আমি তা বলে ফেলব।”
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ “উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়।”
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, كُونُوا رَبَّانِيِّينَ (তোমরা রব্বানি হও)। এখানে رَبَّانِيِّينَ মানে প্রজ্ঞাবান, আলিম ও ফকীহগণ। আরো বলা হয় رباني সে ব্যক্তি কে বলা হয় যিনি মানুষকে জ্ঞানের বড় বড় বিষয়ের পূর্বে ছোট ছোট বিষয় শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ كَمَثَلِ الْغَيْثِ الْكَثِيرِ أَصَابَ أَرْضًا، فَكَانَ مِنْهَا نَقِيَّةٌ قَبِلَتِ الْمَاءَ، فَأَنْبَتَتِ الْكَلأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ، وَكَانَتْ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ الْمَاءَ، فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاسَ، فَشَرِبُوا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا، وَأَصَابَتْ مِنْهَا طَائِفَةً أُخْرَى، إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لاَ تُمْسِكُ مَاءً، وَلاَ تُنْبِتُ كَلأً، فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقِهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ، فَعَلِمَ وَعَلَّمَ، وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا، وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِسْحَاقُ وَكَانَ مِنْهَا طَائِفَةٌ قَيَّلَتِ الْمَاءَ. قَاعٌ يَعْلُوهُ الْمَاءُ، وَالصَّفْصَفُ الْمُسْتَوِي مِنَ الأَرْضِ.
অনুবাদঃ মুহাম্মদ ইবনুল-আলা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যে হিদায়ত ও ইল্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল যমীনের উপর পতিত প্রবল বৃষ্টির ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমানে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। আর কোন কোন ভূমি থাকে কঠিন যা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ্ তা’আলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন; তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তার দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোন কোন জামি আছে যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এই হল সে ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত যে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাতে সে উপকৃত হয়। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। আর সে ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত-যে সে দিকে মাথা তুলে তাকায়ই না এবং আল্লাহর যে হিদায়ত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গ্রহণও করে না।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (মুখারী) (রহঃ) বলেনঃ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনিقَبِلَت এর স্থলে قَيَّلَت (আটকিয়ে রাখে) ব্যবহার করেছেন।قَاعٌ হল এমন ভূমি যার উপর পানি জমে থাকে। আর الصَّفْصَفُ হল সমতল ভূমি।
আমার ভয়ঃ
ইলম বা ইসলামী জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ। তাই ইলম শিক্ষা দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত ভাল কাজ। আবুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান এবং ইলমের হিফাজত করা এবং পরবর্তীদেরকে তা অবহিত করার বাপারে নবী (ﷺ) এর উৎসাহ দিয়েছেন।
وَقَالَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ قَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ، فَعَلِّمُوهُمْ
মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছিলেন- “তোমরা তোমাদের গোত্রের নিকট ফিরে যাও এবং তাদেরকে শিক্ষা দাও।”
কিন্তু যে হারে অনলাইন দারস চালু হচ্ছে, আমার অনেক ভয় লাগতেছে।
একদিকে অনেক অনেক ভাল যে, অনেক সময় না চাওয়া ইলমও হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছি। যথাযথভাবে কদর করতে পারলে লাভবান হব। তবে এতে ভয় হল অনেকগুলো। সামনাসামনি ইলমের যে ফায়দা লাভ হয় সেটার গুরুত্ব হ্রাস পাবে। ফলে ইলমের নূর হাসিল পুরোপুরিভাবে অর্জন হবে না। সবাই এই মুখি হবে। অনলাইন মুখী হলে সেটা যে কত ভয়াবহ হবে তা বুঝার জন্য কেবল ফেসবুক ই যথেষ্ট। কত লাখো কোটি তালবাদের ইলম মোতাআলাকে নষ্ট করেছে তা একজন যুগসচেতন মুআল্লিম বলতে পারবেন।
এর চেয়ে বড় ভয় হল অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে সবাই দারস দিতে শুরু করেছে। ইদানিং লাইভ হচ্ছে লাখো লাখো। সকলেই পরামর্শদাতা। মানবে কে? সকলের ভাব দেখে বুঝা যায় তিনিই এখন বুদ্ধিজীবী। অথচ লাইভে এসে কি বলতেছেন সেটার খবর নেই। কেউবা ভুলে ভরা তেলাওয়াত নিয়ে লাইভে এসে মানুষকে তেলাওয়াত শেখাচ্ছেন, আবার কেউ রিকোয়েস্ট করুক বা না করুক তিনি তিলাওয়াত আপলোড দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করতেছেন, ক্ষমা চাচ্ছেন। কে বা কষ্ট পেল, কে বা নারাজ হল সেটার খবর নেই।
ইদানিং খতম, যিকির, দোয়া সবই অনলাইনে। খতমের হাদিয়াও কি বিকাশে যাচ্ছে কি না কে জানে?
এখন যে রকম রিক্সা ড্রাইভার থেকে নিয়ে বড় আলেম পর্যন্ত সকলেই চায় আমার একটা ফেসবুক একাউন্ট থাকুক। অন্তত আর কিছু না পারি দুটা ছবি আপলোড দিমু।
সেরকম যদি সকলেই এটা শুরু করে যে, আমি একটা দারস দেই। তাহলে কোথায় যে গিয়ে ইলম টা পৌছবে আল্লাহ জানেন।
মনগড়া মত ও ভিত্তিহীন কিয়াস নিন্দনীয়ঃ
তবে নিন্মোক্ত হাদীসের বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে-
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُرَيْحٍ، وَغَيْرُهُ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ حَجَّ عَلَيْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْزِعُ الْعِلْمَ بَعْدَ أَنْ أَعْطَاهُمُوهُ انْتِزَاعًا، وَلَكِنْ يَنْتَزِعُهُ مِنْهُمْ مَعَ قَبْضِ الْعُلَمَاءِ بِعِلْمِهِمْ، فَيَبْقَى نَاسٌ جُهَّالٌ يُسْتَفْتَوْنَ فَيُفْتُونَ بِرَأْيِهِمْ، فَيُضِلُّونَ وَيَضِلُّونَ ". فَحَدَّثْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو حَجَّ بَعْدُ فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي انْطَلِقْ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَاسْتَثْبِتْ لِي مِنْهُ الَّذِي حَدَّثْتَنِي عَنْهُ. فَجِئْتُهُ فَسَأَلْتُهُ فَحَدَّثَنِي بِهِ كَنَحْوِ مَا حَدَّثَنِي، فَأَتَيْتُ عَائِشَةَ فَأَخْبَرْتُهَا فَعَجِبَتْ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَقَدْ حَفِظَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو.
অনুবাদঃ
সাঈদ ইবনু তালীদ (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) আমাদের এ দিক দিয়ে হাজ্জে (হজ্জ) যাচ্ছিলেন। আমি শুনতে পেলাম, তিনি বলছেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যে ইল্ম দান করেছেন, তা হঠাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইল্মের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইল্মসহ ক্রমশ তুলে নেবেন। তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে। তারা মনগড়া ফাতওয়া দেবে। ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে, অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”
সেটা ফেসবুক দারসের মাধ্যমেও হতে পারে।
তাই বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগণ সেই স্থানটা দখল করে আমার মত মূর্খদের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। আজে বাজে দারস, ভুয়া দারস হলে উম্মাহ অনেক বড় ক্ষতিতে নিমজ্জিত হবে, ফিতনা বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাবে। আলেমরা দায়ী হয়ে যাবেন। কারণ যুগ যামানার সমস্যার মোকাবিলা করাও আলেমদের দায়িত্ব।
বেশ কতেক দারস ইতোমধ্যে নজরে পড়ল, মুদার্রিস নিজে ইবারতই ঠিক মত পড়তে পারছেন না, ব্যাখ্যা আর কি দিবেন। তাছাড়া বুখারী, মুসলিম দারস দিতে শুরু করে দিছেন। বুখারী মুসলিমের মত কিতাব দারস দেওয়া কি এতই সহজ?
স্বাভাবিক ভাবে আরবি জানা লোক হলেও মাদরাসাতে এসব কিতাব সকলের পড়ানোর অনুমতিই থাকেনা। আমাদের উস্তাযগণ সকলেই আরবি জানতেন। তাই বলে কি সকলেই হাদীসের কিতাব দারস দিতেন?
তাহলে আজ যারা দারস শুরু করে দিলেন, বুখারী মুসলিম দারস দিচ্ছেন, তাও আমভাবে সেটার ফলাফল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বুঝতে পারছেন?
আর যারা এসব কিতাব শুরু করে দিলেন তাদের কি স্বাভাবিকভাবে মাদরাসাতে অন্তত দাখিল আলিমের ক্লাস করানোর অনুমতি ছিল?
হায় আফসোস, আমাদের জন্য বড় একটা দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে।
বুখারীর আদবটাও যদি শিখতে না পারি বেকার হবে। কাজ হবেনা। কি শিখায় দারসে? অনেক সময় দেখলাম অনুবাদ করছে এই শেষ।
এটা কি হাদীসের দারস? এভাবে কি মুদার্রিস সাহেব শিখেছিলেন? এত আমভাবে হাদীসের দারস দেওয়ার অনুমতি কি আছে? কোন যুগে এরকম কি আ'ম হয়েছিল মুহাদ্দিসদের দারসগুলো?
বলতে পারেন যামানার আলোকে তা করতে হচ্ছে। যামানার আলোকে করাবেন করান, তবে কাদেরকে কোন কিতাব পড়াবেন, কোন স্তরের লোককে কিভাবে কখন কি শিখাবেন সেটা আগে জানুন, তারপর শিখান।
নতুবা ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। সব শেষে এটাই বলব আহলে হাদীসরা যেভাবে সকলের হাতে বাংলা বুখারি তুলে দিয়ে বুখারী পড়ার ইযাযত দিয়েছিল, ফলে আজ স্থানে স্থানে মূর্খ, গন্ডমূর্খরা মুজতাহিদ বনে গিয়ে আলেমদের থেকে দূরে সরে দ্বীনহারা হয়েছে একই বিপদ আমাদের ঘাড়েও আসতেছে মনে রাখবেন।
আমার বলার মধ্যে কোন ভুল হলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। সবাইকে হেফাজাত করুন।