নির্বাচিত চল্লিশ খানা হাদীস শরীফ
ইসলামী জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজে আইন। যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জন বা ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। তাই ইলম বা জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া ও নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত ভাল কাজ। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ- هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ অর্থাৎ- “যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (৩৯ঃ ৯) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যায়নের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয়।
ইসলামী জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজে আইন। যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জন বা ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। তাই ইলম বা জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া ও নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত ভাল কাজ। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ-
هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ- “যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (৩৯ঃ ৯)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যায়নের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয়।
নবী (ﷺ) আবুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান এবং ইলমের হিফাজত করা এবং পরবর্তীদেরকে তা অবহিত করার বাপারে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন-
وَقَالَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ قَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ، فَعَلِّمُوهُمْ
অর্থাৎ- মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছিলেন- “তোমরা তোমাদের গোত্রের নিকট ফিরে যাও এবং তাদেরকে শিক্ষা দাও।”
আবু যার (রাঃ) তাঁর ঘাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, যদি তোমরা এখানে তরবারি ধর, এরপর আমি বুঝতে পারি যে, তোমরা আমার ওপর সে তরবারী চালাবার আগে আমি একটু কথা বলতে পারব, তবে আমি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি, অবশ্যই আমি তা বলে ফেলব।”
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ “উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে আমার অমীয় বাণী পৌঁছে দেয়।”
চল্লিশখানা হাদীস শরীফ মুখস্ত করার ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী হলো-
وعن أبي الدرداء - رضي الله عنه - قال : سُئل رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم ما حدُّ العلمِ إذا حفِظه الرَّجلُ كان فقيهًا ؟ فقال رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم : من حفِظ على أمَّتي أربعين حديثًا من أمرِ دينِها بعثه اللهُ فقيهًا ، وكنتُ له يومَ القيامةِ شافعًا وشهيدًا "
অনুবাদঃ হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ধর্মের কি পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করলে একজন লোক ফকীহ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমার উম্মতের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি ধর্মের আদেশ সংক্রান্ত চল্লিশটি হাদীস মুখস্ত করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ফকীহ হিসাবে গণ্য করবেন এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও স্বাক্ষী হব।
Translation: On the authority of Abu al-Dardaa - may God be pleased with him - he said: The Messenger of God, may God’s prayers and peace be upon him, was asked: What is the limit of knowledge if a man memorizes him? Then the Messenger of God, may God’s prayers and peace be upon him, said: Whoever preserved my nation for forty hadiths from the command of its religion, Allah sent it as a jurist, and on the Day of Resurrection I was an intercessor and a martyr.
এজন্য ৪০ খানা হাদীস মুখস্ত করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যথা সম্ভব প্রত্যেকের উচিত মুখস্ত করার চেষ্টা করা। পাঠকের বোধগম্য হওয়ার জন্য ৪০ খানা হাদীস শরীফ নির্বাচিত করে সাথে বাংলা অনুবাদ ও English Translation উল্লেখ করা হলো।
হাদীস শরীফ নং- ০১ঃ
আমীরুল মুমিনীন আবূ হাফস্ উমার ইবনু আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— আমি রাসূলুল্লাহ্ কে বলতে শুনেছি— “সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।” [বুখারী, মুসলিম]
عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَبِي حَفْصٍ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: " إنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إلَى مَا هَاجَرَ إلَيْهِ". (رواه البخارى)
It is narrated on the authority of Amirul Mu'minin, Abu Hafs 'Umar bin al-Khattab (RAA) who said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Actions are (judged) by motives (niyyah), so each man will have what he intended. Thus, he whose migration (hijrah) was to Allah and His Messenger, his migration is to Allah and His Messenger; but he whose migration was for some worldly thing he might gain, or for a wife he might marry, his migration is to that for which he migrated." [Bukhari & Muslim]
হাদীস শরীফ নং- ০২ঃ
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশী প্রিয় হই।
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ ".
Narrated Hazrat Anas (RAA) said: The Prophet said "None of you will have faith till he loves me more than his fath his children and all mankind."
হাদীস শরীফ নং- ০৩ঃ
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এর খাদেম আবূ হামযাহ্ আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” [বুখারী: ১৩, মুসলিম: ৪৫]
عَنْ أَبِي حَمْزَةَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَادِمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه و سلم قَالَ: "لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ".
رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ [رقم:13]، وَمُسْلِمٌ [رقم:[45].
On the authority of Hazrat Abu Hamzah Anas bin Malik (RAA) — the servant of the messenger of Allah— that the Prophet (SAW) said: None of you [truly] believes until he loves for his brother that which he loves for himself. [Al-Bukhari] [Muslim]
হাদীস শরীফ নং- ০৪ঃ
হজরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি বাক্য এমন যে, মুখে তার উচ্চারন অতি সহজ কিন্তু পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। তা হলঃ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ، سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ সুবাহানআল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবাহানআল্লাহিল আযীম। [বুখারী]
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ، سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ، سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ". (رواه البخارى-7563)
Narrated Hazrat Abu Huraira (RAA) said: The Prophet (ﷺ) said, "There are two expressions which are very easy for the tongue to say, but they are very heavy in the balance and are very dear to The Beneficent (Allah), and they are, 'Subhan Allah Al- `Azim and 'Subhan Allah wa bihamdihi.'"
হাদীস শরীফ নং- ০৫ঃ
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মক্কাতে তুমি যে বরকত দান করেছ, মদিনাতে এর দ্বিগুণ বরকত দাও। [বুখারী]
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعْفَىْ مَا جَعَلْتَ بِمَكَّةَ مِنَ الْبَرَكَةِ ". تَابَعَهُ عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ عَنْ يُونُسَ.
Narrated Hazrat Anas (RAA) said: The Prophet (ﷺ) said, "O Allah! Bestow on Medina twice the blessings You bestow on Mecca. Sahih al-Bukhari 1885
হাদীস শরীফ নং- ০৬ঃ
হযরতইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ মদীনাতে মৃত্যুবরণ করতে সক্ষম হলে সে যেন সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। কারণ যে ব্যক্তি সেখানে মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্য সুপারিশ করব। ইবনু মাজাহ (৩১১২)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوتَ بِالْمَدِينَةِ فَلْيَمُتْ بِهَا فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ .
Narrated Hazrat Ibn 'Umar (RAA) said: that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever is able to die in Al-Madinah, then let him die there, for I will intercede for those who die there."
হাদীস শরীফ নং- ০৭ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার নামে তোমরা নাম রেখ; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা উপনামে রেখ না। আর যে আমাকে স্বপ্নে দেখে সে ঠিক আমাকেই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতির ন্যায় রুপ ধারণ করতে পারে না। যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যা আরোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়। [বুখারী]
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ". (رواه البخارى -110)
Narrated Hazrat Abu Huraira (RAA) said: The Prophet (ﷺ) said, "Name yourselves with my name (use my name) but do not name yourselves with my Kunya name (i.e. Abul Qasim). And whoever sees me in a dream then surely he has seen me for Satan cannot impersonate me. And whoever tells a lie against me (intentionally), then (surely) let him occupy his seat in Hell-fire."
হাদীস শরীফ নং- ০৮ঃ
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি কাজ বা হক রয়েছে, ১. যখন কোন মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের দেখা হবে তখন তাকে সালাম দিবে, ২. যখন সে হাঁচি দিবে তখন অপরজন হাঁচির জওয়াব দিবে, ৩. একজন দওয়াত দিলে অপরজন দাওয়াতে সাড়া দিবে বা অংশগ্রহন করবে, ৪. যখন সে অসুস্থ হবে তখন তার সেবা করবে, ৫. যখন সে মারা যাবে তখন তার জানাজায় অংশগ্র্হন করবে ও ৬. নিজের জন্য যে কাজ পছন্দ করবে অপরের জন্যও তা পছন্দ করবে |
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتَّةٌ بِالْمَعْرُوفِ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَتْبَعُ جِنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ " .
It was narrated that ‘Ali (RAA) said that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The Muslim has six courtesies due from the Muslim: He should greet him with Salam when he meets him; he should accept his invitation if he invites him; he should answer [by Yarhamuk-Allah (may Allah have mercy on you)] to him if he sneezes (and says Al- Hamdulillah); he should visit him if he falls sick; he should follow his funeral if he dies; and he should love for him what he loves for himself.”
হাদীস শরীফ নং- ০৯ঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ইসলামের কোন্ কাজ সবচাইতে উত্তম?’ তিনি বললেনঃ তুমি লোকদের আহার করাবে এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে সালাম দিবে। [বুখারী]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ " تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ". (رواه البخارى -28)
Narrated Hazrat Abdullah bin 'Amr (RAA) said: A person asked Allah's Messenger (ﷺ) . "What (sort of) deeds in or (what qualities of) Islam are good?" He replied, "To feed (the poor) and greet those whom you know and those whom you don't know." (Sahih al-Bukhari 28)
হাদীস শরীফ নং- ১০ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মুনাফিকের চিহ্ন ৩ টি । যথা- ১. যখন সে কথা বলবে তখন মিথ্যা বলবে, ২. যখন সে ওয়াদা করবে তখন তা পূরন করবে না ও ৩. যখন তার কাছে কোন আমানত রাখা হবে সে তা খেয়ানত করবে| (বুখারী, মুসলিম)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضى الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اَللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -{ آيَةُ اَلْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ, وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ, وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ } مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. (1947) .
2 - صحيح. رواه البخاري (33)، ومسلم (59) (107).
Hazrat Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “There are three signs of a hypocrite: when he speaks, he tells lies; when he makes a promise, he breaks it; and when he is entrusted, he betrays his trust.” Agreed upon.
হাদীস শরীফ নং- ১১ঃ
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। ১। আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ্র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান, ২। নামাজ কায়েম করা, ৩। যাকাত দেওয়া, ৪। হজ্জ করা এবং ৫। রামাদান এর রোজা রাখা। [বুখারী]
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ". (رواه البخارى -8)
Narrated Hazrat Ibn 'Umar (RAA): Allah's Messenger (ﷺ) said: Islam is based on (the following) five (principles): 1. To testify that none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Messenger (ﷺ). 2. To offer the (compulsory congregational) prayers dutifully and perfectly.
3. To pay Zakat (i.e. obligatory charity) . 4. To perform Hajj. (i.e. Pilgrimage to Mecca) 5. To observe fast during the month of Ramadan.
হাদীস শরীফ নং- ১২ঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমান (প্রকৃত) সেই ব্যাক্তি, যার যবান ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে। আর মুহাজির (প্রকৃত) সে, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা পরিত্যাগ করে। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو بن العاص رضي الله عنهما ، يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللَّهُ عَنْهُ ".((متفق عليه)) .
Hazrat Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (RAA) reported: The Prophet (ﷺ) said, "A Muslim is the one from whose tongue and hands the Muslims are safe; and a Muhajir (Emigrant) is the one who refrains from what Allah has forbidden". [Al-Bukhari and Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ১৩ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে, তারপূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (নাসায়ী)
أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مَرْوَانَ، أَنْبَأَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَامَ شَهْرَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
It was narrated that Hazrat Abu Hurairah (RAA) said: "The Messenger of Allah said: 'Whoever spends the nights of Ramadan in prayer (Qiyam) out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins, and whoever spends the night of Lailat Al-Qadr in prayer out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins."' Sunan an-Nasa'i 2207
হাদীস শরীফ নং- ১৪ঃ
হযরত আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মানুষ যখন তার পরিবারের জন্য সওয়াবের নিয়তে খরচ করে, তখন তা হয় তার সদকা স্বরূপ। [বুখারী]
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَنْفَقَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ يَحْتَسِبُهَا فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ ".(رواه البخارى)
Narrated Hazrat Abu Mas'ud (RAA): The Prophet (ﷺ) said, "If a man spends on his family (with the intention of having a reward from Allah) sincerely for Allah's sake then it is a (kind of) alms-giving in reward for him.
হাদীস শরীফ নং- ১৫ঃ
হযরত আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন শৌচাগারে যায়, তখন সে যেন কিবলার দিকে মুখ না করে এবং তার পিঠও না করে, বরং তোমরা পূর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে (এই নির্দেশ মদিনার বাসিন্দাদের জন্য, বাংলাদেশীরা উত্তর বা দক্ষিণমূখী হয়ে বসবে)। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يُوَلِّهَا ظَهْرَهُ، شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا ". (رواه البخارى -144)
Narrated Jazrat Abu Aiyub Al-Ansari (RAA): Allah's Messenger (ﷺ) said, "If anyone of you goes to an open space for answering the call of nature he should neither face nor turn his back towards the Qibla; he should either face the east or the west." Sahih al-Bukhari 144
হাদীস শরীফ নং- ১৬ঃ
হযরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আযান শুনে দু’আ করেঃ ‘হে আল্লাহ-এ পরিপূর্ণ আহবান ও সালাতের প্রতিষ্ঠিত মালিক, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওয়াসীলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সে মাকেমে মাহমূদে পৌছিয়ে দিন যার অঙ্গিকার আপনি করেছেন’- কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত লাভের অধিকারী হবে। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". (رواه البخارى -615)
Narrated Jabir bin `Abdullah: Allah's Messenger (s) said, "Whoever after listening to the Adhan says, 'Allahumma Rabba hadhihi-dda` watit-tammah, was-salatil qa'imah, ati Muhammadan al-wasilata wal-fadilah, wa b`ath-hu maqaman mahmudan-il-ladhi wa`adtahu' [O Allah! Lord of this perfect call (perfect by not ascribing partners to You) and of the regular prayer which is going to be established, give Muhammad the right of intercession and illustriousness, and resurrect him to the best and the highest place in Paradise that You promised him (of)], then my intercession for him will be allowed on the Day of Resurrection".
হাদীস শরীফ নং- ১৭ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব রকম আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায়; সদকা জারিয়াহ (বহমান দান খয়রাত, মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন করে দেওয়া ইত্যাদি) অথবা ইলম (জ্ঞান সম্পদ) যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় অথবা সুসন্তান যে তার জন্য নেক দো‘আ করতে থাকে।” (মুসলিম)
وعن ابي هريرة (رض)قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إِذَا مَاتَ ابْنُ آدَمَ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاثٍ: صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ» . رواه مسلم)
হাদীস শরীফ নং- ১৮ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান, আর আমার মিম্বর অবস্থিত (রয়েছে) আমার হাউয (কাওসার) এর উপর। [বুখারী]
َحدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ، وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي ". (رواه البخارى )
Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "Between my house and my pulpit there is a garden of the gardens of Paradise, and my pulpit is on my fountain tank (i.e. Al-Kauthar)."
হাদীস শরীফ নং- ১৯ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন স্ত্রী স্বামীর উপস্থিতিতে তাঁর অনুমতি ছাড়া নফল রোযা রাখবে না। [বুখারী]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَصُومُ الْمَرْأَةُ وَبَعْلُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ". (رواه البخارى -5192)
Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "A woman should not fast (optional fasts) except with her husband's permission if he is at home (staying with her).
হাদীস শরীফ নং- ২০ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর তার স্ত্রী অস্বীকার করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার ওপর লা’নত বর্ষণ করতে থাকে। [বুখারী]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ أَنْ تَجِيءَ لَعَنَتْهَا الْمَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ ". (رواه البخارى)
Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "If a man Invites his wife to sleep with him and she refuses to come to him, then the angels send their curses on her till morning."
হাদীস শরীফ নং- ২১ঃ
হযরত হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইযারের যে পরিমান টাখনুর নীচে যাবে, সে পরিমান জাহান্নামে যাবে। [বুখারী]
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ ".. (رواه البخارى)
Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "The part of an Izar which hangs below the ankles is in the Fire."
হাদীস শরীফ নং- ২২ঃ
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন: "তোমাদের মধ্যে কেউ কোন অন্যায় দেখলে তা সে তার হাত দ্বারা প্রতিহত করবে, যদি তা সম্ভব না হয় তবে মুখ দ্বারা প্রতিহত করবে, তাও যদি না করতে পারে তাহলে অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করবে। আর এ হচ্ছে (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) দুর্বলতম ঈমান।" (মুসলিম)
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْت رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم يَقُولُ: "مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ" .[رَوَاهُ مُسْلِمٌ].
Hazrat Abu Sa`eed al-Khudree (RAA) said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say, “Whosoever of you sees an evil, let him change it with his hand; and if he is not able to do so, then [let him change it] with his tongue; and if he is not able to do so, then with his heart — and that is the weakest of faith.” [Muslim]
হাদীস শরীফ নং- ২৩ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন: “অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করাই একজন ব্যক্তির উত্তম ইসলাম।” [হাদীসটি হাসান। তিরমিযী: ২৩১৮, ইবনু মাজাহ: ৩৯৭৬]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم "مِنْ حُسْنِ إسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ".
حَدِيثٌ حَسَنٌ، رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ [رقم: 2318] ، ابن ماجه [رقم:3976].
Hazrat Abu Hurayrah (RAA) said: The Messenger of Allah (SAW) said, “Part of the perfection of one’s Islam is his leaving that which does not concern him.” A hasan (good) hadeeth which was related by at-Tirmidhi and others in this fashion.
হাদীস শরীফ নং- ২৪ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি অথবা ষাটটিরও কিছু বেশি। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে “আল্লাহ ব্যাতীত কোনো উপাস্য নেই” এ কথা স্বীকার করা, আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে- রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ঈমানের অন্যতম একটি শাখা। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أَوْ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ " .((متفق عليه)).
Hazrat Abu Hurairah (RAA ) said: The Prophet (ﷺ) said, "Iman has over seventy branches - or over sixty branches - the uppermost of which is the declaration: 'None has the right to be worshipped but Allah'; and the least of which is the removal of harmful object from the road, and modesty is a branch of Iman." [Al-Bukhari and Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ২৫ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের পিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না (অস্বীকার করো না)। কেননা, যে ব্যাক্তি আপন পিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় (পিতাকে অস্বীকার করে) এটি কুফরী। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ أَبِيهِ فَهُوَ كُفْرٌ ". ((متفق عليه)).
Hazrat Abu Hurairah (RAA) said: The Prophet (ﷺ) said, "Do not turn away from your fathers, for he who turns away from his father, will be guilty of committing an act of disbelief." [Al-Bukhari and Muslim]
হাদীস শরীফ নং- ২৬ঃ
হযরত যুবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ ওয়াইল (রহঃ)- কে মুরজিআ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنِ الْمُرْجِئَةِ،، فَقَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ".((متفق عليه)).
Hazrat Ibn Mas'ud (RAA) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Reviling a Muslim is Fusuq (disobedience of Allah) and killing him is (tantamount to) disbelief." [Al-Bukhari and Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ২৭ঃ
আবু সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, আমি হযরত জাবির (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায পরিত্যাগ করা। [মুসলিম]
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلاَةِ " .((رواه مسلم)).
Hazrat Jabir (RAA) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Between a man and disbelief and paganism is the abandonment of Salat (prayer)." [Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ২৮ঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ সঠিক সময়ে আদায় করা এবং পিতামাতার প্রতি সদ্যবহার করা আমল সমূহের মধ্যে বা আমলের মধ্যে সর্বোত্তম আমল। [মুসলিম]
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَفْضَلُ الأَعْمَالِ - أَوِ الْعَمَلِ - الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا وَبِرُّ الْوَالِدَيْنِ " . (رواه المسلم -252)
It is reported on the authority of Hazrat 'Abdullah (RAA) that the Messenger of Allah observed: The best of' the deeds or deed is the (observance of) prayer at its proper time and kindness to the parents.
হাদীস শরীফ নং- ২৯ঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। [মুসলিম]
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ فُضَيْلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ " .(رواه المسلم -267)
It is narrated on the authority of Hazrat 'Abdullah (RAA) that the Messenger of Allah (ﷺ) observed: He who has in his heart the weight of a mustard seed of pride shall not enter Paradise.
হাদীস শরীফ নং- ৩০ঃ
হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি কসমের মাধ্যমে কোন মুসলমানের হক বিনষ্ট করে তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম অবধারিত করে রেখেছেন এবং জান্নাত হারাম করে রেখেছেন। তখন জনৈক ব্যাক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! অতি সামান্য বস্তু হলেও? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আরাক (বাবলা গাছের মত এক ধরনের কাঁটাযুক্ত গাছের) গাছের ডাল হলেও এ শাস্তি দেয়া হবে। [মুসলিম]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ اَلْحَارِثِيُّ - رضى الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اَللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -قَالَ: { " مَنْ اِقْتَطَعَ حَقَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينِهِ, فَقَدْ أَوْجَبَ اَللَّهُ لَهُ اَلنَّارَ, وَحَرَّمَ عَلَيْهِ اَلْجَنَّةَ" . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: وَإِنْ كَانَ شَيْئًا يَسِيرًا يَا رَسُولَ اَللَّهِ? قَالَ: "وَإِنْ قَضِيبٌ مِنْ أَرَاكٍ" } رَوَاهُ مُسْلِم ٌ .
Narrated Hazrat Abu Umamah al-Harithi (RAA) said: Allah's Messenger (ﷺ) said. "If anyone seized - by his oath - what rightly belongs to a Muslim, Allah has made the Hell-fire compulsory for him and forbidden for him the Paradise." A man asked, "O Allah's Messenger, even if it were something insignificant?" He replied, "Even if it were a stick from an Arak tree." [Reported by Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ৩১ঃ
হযরত ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের অনুসরণকারী মহিলাদের এবং মহিলাদের অনুকরণকারী পুরুষদের উপর লা’নত করেছেন। [বুখারী]
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهَاتِ بِالرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ وَالْمُتَشَبِّهِينَ بِالنِّسَاءِ مِنَ الرِّجَالِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .(رواه البخارى -5885)
Narrated Hazrat Ibn 'Abbas (RAA) said : "The Messenger of Allah (ﷺ) cursed the women who imitate men and the men who imitate women."
হাদীস শরীফ নং- ৩২ঃ
হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্নীয়তার সম্বন্ধ সংযুক্ত রেখে চলে। [বুখারী]
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ " .. (رواه البخارى-5986)أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ " .. (رواه البخارى-5986)
Anas b. Malik reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:He who likes that his sustenance should be expanded and his age may be lengthened should join the tie of kinship.
হাদীস শরীফ নং- ৩৩ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান বা ধারনা করা থেকে বেঁচে থেকো। কারণ অনুমান বা ধারনা করা বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো। [বুখারী]
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ، وَلاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا ".(رواه البخارى -6066)
Narrated Hazrat Abu Huraira (RAA): Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Beware of suspicion, for it is the worst of false tales and don't look for the other's faults and don't spy and don't hate each other, and don't desert (cut your relations with) one another O Allah's slaves, be brothers!" Sahih al-Bukhari
হাদীস শরীফ নং- ৩৪ঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ দুনিয়াতে যাকে ভালবাসবে কিয়ামতে সে তারই সঙ্গী হবে। [বুখারী, মুসলিম]
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ". ((متفق عليه)) .
Hazrat Ibn Mas'ud (RAA) reported: A man came to Messenger of Allah (ﷺ) and said, "O Messenger of Allah! What do you think of a man who loves some people but does not go any nearer to their position?" He (ﷺ) replied, "A man will be with those whom he loves". [Al-Bukhari and Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ৩৫ঃ
হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়ার্দ হন না। [বুখারী, মুসলিম]
وَعَنْ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ لا يَرْحَمُهُ اللَّهُ. ((متفق عليه)) .
Hazrat Jarir bin 'Abdullah (RAA) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who is not merciful to people Allah will not be merciful to him." [Al-Bukhari and Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ৩৬ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমূআ থেকে আরেক জুমুআ পর্যন্ত এবং এক রমযান থেকে অপর রমযান পর্যন্ত, এইসব তাদের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে, যদি সে কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي صَخْرٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ إِسْحَاقَ، مَوْلَى زَائِدَةَ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ " .
Hazrat Abu Huraira (RAA) reported: Verily the Messenger of Allah (ﷺ) said: The five (daily) prayers and from one Friday prayer to the (next) Friday prayer, and from Ramadhan to Ramadhan are expiations for the (sins) committed in between (their intervals) provided one shuns the major sins. Sahih Muslim
হাদীস শরীফ নং- ৩৭ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যদি আমি মুমিনদের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে এশার নামায বিলম্বে (রাত্রির এক-তৃতীয়াংশের পর) পড়তে ও প্রত্যেক নামাযের সময় মেস্ওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম। (নাসাঈ- মুসলিম, ইবনু মাজাহ, বুখারী)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ قَالَ " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ، عَلَى الْمُؤْمِنِينَ لأَمَرْتُهُمْ بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ وَبِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ " .حكم : صحيح دون جملة العشاء
Narrated Abu Hurayrah : (the Prophet, sal Allaahu alayhi wa sallam ) as saying : Were it not that I might oeverburdern the believers, I would order them to delay the night ('isha ) prayer and use the tooth-stick at the time of every prayer.
হাদীস শরীফ নং- ৩৮ঃ
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দশটি বিষয় ফিতরাতের (মানব প্রকৃতির) অন্তর্ভুক্তঃ গোঁফ খাটো করা, দাঁড়ি লম্বা করা, মেসওয়াক করা, পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা, নখ কাটা, আঙ্গুলের জোড়াগুলো ধৌত করা, বগলের লোম পরিষ্কার করা, লজ্জাস্থানের লোম পরিষ্কার করা এবং পানি দিয়ে শৌচ করা। যাকারিয়া (রহঃ) বলেন, মুসআব (রহঃ) বলেছেন, আমি দশম বিষয়টি ভুলে গিয়েছি। তবে তা কুলি করা হতে পারে।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَشَرَةٌ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَالاِسْتِنْشَاقُ وَنَتْفُ الإِبْطِ وَحَلْقُ الْعَانَةِ وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ " . قَالَ مُصْعَبٌ وَنَسِيتُ الْعَاشِرَةَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ الْمَضْمَضَةَ .
It was narrated from Hazrat 'Aysha (RAA) that: The Messenger of Allah [SAW] said: "Ten things are part of the Fitrah: Trimming the mustache, trimming the nails, washing the joints, letting the beard grow, using the Siwak, rinsing the nose, plucking the armpit hairs, shaving the pubes, and washing with water (after relieving oneself)." Mus'ab bin Shaibah said: "I have forgotten the tenth, unless it was rinsing the mouth." Sunan an-Nasa'i 5040
হাদীস শরীফ নং- ৩৯ঃ
হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কোন পুরুষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর কাছে কিছুতেই রাত যাপন করবে না; তবে যদি সে তার স্বামী হয় অথবা মুহরিম হয়। [মুসলিম]
وَعَنْ جَابِرٍ - رضى الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اَللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -{ لَا يَبِيتَنَّ رَجُلٌ عِنْدَ اِمْرَأَةٍ, إِلَّا أَنْ يَكُونَ نَاكِحًا, أَوْ ذَا مَحْرَمٍ. (رواه المسلم -5673 }
Narrated Hazrat Jabir (RA) said : Allah's Messenger (ﷺ) said: "A man must not spend the night in the house of woman unless he is her husband or a Mahram." [Reported by Muslim].
হাদীস শরীফ নং- ৪০ঃ
হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সেই বান্দাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করুন যে আমার বক্তব্য শুনে তা স্মৃতিতে ধারণ করেছে, অতঃপর আমার পক্ষ থেকে তা (অন্যদের নিকট) প্রচার করেছে। কতক জ্ঞানের বাহক নিজেরাই জ্ঞানী নয় এবং কতক জ্ঞানের বাহক যাদের নিকট তা পৌঁছে দেয় তারা তাদের চেয়ে অধিক সমঝদার হতে পারে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ مُعَانِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ بُخْتٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نَضَّرَ اللَّهُ عَبْدًا سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا ثُمَّ بَلَّغَهَا عَنِّي فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرِ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ أَفْقَهُ مِنْهُ " .
It was narrated that Hazrat Anas bin Malik (RAA) said: "The Messenger of Allah said: 'May Allah cause to flourish a slave (of His) who hears my words and understands them, then he conveys them from me. There are those who have knowledge but no understanding, and there may be those who convey knowledge to those who may have more understanding of it than they do.'"
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন ।