ইসলামের কন্ঠইসলামের কন্ঠ
সম্পাদকীয়আর্কাইভআমাদের পরিচিতিলেখা পাঠানোর নিয়মাবলীযোগাযোগের মাধ্যম
হাদীস শরীফ

কাপড় টাখনুর নিচে পরিধান করা কবিরা গুনাহঃ

আমরা অনেক সময় দেখি নামাজের জামাত শুরু হওয়ার আগে মুসল্লিদের কেউ কেউ নিজেদের পায়জামা, প্যান্ট, লুঙ্গি ইত্যাদি টাখনু গিরার ওপর তুলে নিচ্ছেন । এতে মনে হয় শুধু নামাজের সময়ই কাপড় টাখনুর ওপর তুলতে হবে; অথচ বিষয়টি শুধু নামাজের সাথে সম্পৃক্ত নয়। পুরুষের জন্য নামাজের ভেতরে-বাইরে সর্বাবস্থায় কাপড় টাখনুর নিচে পরিধান করা কবিরা গুনাহ। এ বিষয়ে হাদীসে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে।

ইসলামের কন্ঠ
কাপড় টাখনুর নিচে পরিধান করা কবিরা গুনাহঃ

আমরা অনেক সময় দেখি নামাজের জামাত শুরু হওয়ার আগে মুসল্লিদের কেউ কেউ নিজেদের পায়জামা, প্যান্ট, লুঙ্গি ইত্যাদি টাখনু গিরার ওপর তুলে নিচ্ছেন । এতে মনে হয় শুধু নামাজের সময়ই কাপড় টাখনুর ওপর তুলতে হবে; অথচ বিষয়টি শুধু নামাজের সাথে সম্পৃক্ত নয়। পুরুষের জন্য নামাজের ভেতরে-বাইরে সর্বাবস্থায় কাপড় টাখনুর নিচে পরিধান করা কবিরা গুনাহ। এ বিষয়ে হাদীসে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো।

وَعَنْهُ إنْ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَال : " مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلَاءَ لَمْ يَنْظُرْ اللَّهُ إلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ! إزَارِي يَسْتَرْخِي ، إلَّا أَنْ أَتَعَاهَدَهُ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّكَ لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلَاءَ " . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩৭৬ হাদিস নং৪৩৬৯-[৬৬]

উক্ত রাবী [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ কাপড় হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার দিকে তাকাবেন না। তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! অসাবধানতাবশতঃ অনেক সময় আমার লুঙ্গি টাখনুর নিচে ঝুলে যায়। তখন রসূলুল্লাহﷺতাঁকে লক্ষ্য করে বললেনঃ যারা অহংকারবশতঃ কাপড় ঝুলায় আপনি তাদের অন্তরভুক্ত নন। ] সহীহ : বুখারী ৩৬৬৫, আবূ দাঊদ ৪০৮৫, নাসায়ী ৫৩৩৫, সহীহুল জামি‘ ৬১৮৮, আল জামি‘উস্ সগীর ১১১৩৩, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২০৩৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৬৮২, মুসনাদে আহমাদ ৫৩৫১, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৩০০০।
عَنْ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَال : مَرَرْت بِرَسُولِ اللَّهِ - ﷺ وَفِي إزَارِي اسْتِرْخَاء . فَقَال يَا عَبْدَ اللَّهِ ! ارْفَعْ إزَارَك " فَرَفَعَتْه ، ثُمَّ قَالَ : " زِد " فَزِدْت . فَمَا زِلْتُ أتحراها بَعْد . فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ : إلَى أَيْنَ ؟ قَال : " إِلَى أَنْصَافِ السَّاقَيْنِ " . رَوَاه مسلم

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩৭৬ হাদিস নং৪৩৬৮-[৬৫] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহﷺ-এর সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে সময় আমার ইযার ঝুলানো ছিল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! তোমার ইযার উঠিয়ে নাও। তখনই আমি তা উঠিয়ে নিলাম। অতঃপর বললেনঃ আরো উঠাও। আমি আরো উঠালাম। এরপর হতে আমি সর্বদা তা উপরে বাঁধতে চেষ্টা করতাম। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করল, কতটুকু উপরে উঠাতে হবে তিনি বললেন, দু’ পায়ের অর্ধ নলা পর্যন্ত। ( সহীহ : মুসলিম ৪৭-(২০৮৬), নাসায়ী ৫৩২৯, আহমাদ ১০৫৬২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৬৪৮, ‘নাসায়ী’র কুবরা ৯৬৮৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৬৮৮।

وَفِي أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَال : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ- - يَقُول : " إزْرَةُ الْمُؤْمِنِ إلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ ، لَا جُنَاحَ عَلَيْهِ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَيْنِ ، مَا أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ فَفِي النَّارِ " قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ " وَلَا يَنْظُرُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إلَى مَنْ جَرَّ إزَارَهُ بَطَرًا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْنُ مَاجَهْ
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩৭৪ হাদিস নং৪৩৩১-[২৮] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, মু’মিনের ইযার (লুঙ্গি, পেন্ট ও পায়জামা) পায়ের অর্ধনলা পর্যন্ত থাকা চাই, তবে তার নিচে টাখনু বা গিরার উপর পর্যন্ত হওয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। কিন্তু টাখনুর নিচে যা যাবে তা জাহান্নামে যাবে। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ ইযার হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দৃষ্টি করবেন না। (আবূ দাঊদ ৪০৯৩, ইবনু মাজাহ ৩৫৭৩, , মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৯০, মুসনাদে আহমাদ ১১৩৯৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৪৭, শু‘আবুল ঈমান ৬১৩৩, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৪৭, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৫২০৪।

٤٣١٤ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِﷺ - " «مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فِي النَّارِ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩৭৩ হাদিস নং।৪৩১৪-[১১] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ টাখনুর নিচে ইযারের যে অংশ থাকবে তা জাহান্নামে। (অর্থাৎ- কিয়দংশের জন্য সারা শরীরই আগুনে প্রজ্জ্বলিত হবে।)
[1] সহীহ : বুখারী ৫৭৮৭, মুসনাদে আহমাদ ৯৩১৯, নাসায়ী ৫৩৩১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২০২৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২০৩৭, মুসান্নাফ ইবনু আবী শারবাহ্ ২৪৮২৪, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৭২৬।

٤٣١٤ - (وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -ﷺ َ: " مَا أَسْفَلَ) : بِفَتْحِ اللَّامِ أَيْ مَا نَزَلَ (مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ) : بَيَانٌ لِمَا أَيْ مِنْ إِزَارِ الرَّجُلِ (فِي النَّارِ) : أَيْ فَهُوَ أَيْ صَاحِبُهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ بِسَبَبِ الْإِسْبَالِ النَّاشِئِ عَنِ التَّكَبُّرِ وَالِاخْتِيَالِ. قَالَ الْأَشْرَفُ: " مَا " مَوْصُولَةٌ وَصِلَتُهُ مَحْذُوفَةٌ وَهُوَ كَانَ، وَأَسْفَلَ مَنْصُوبٌ خَبَرًا
لِكَانَ، وَيَجُوزُ أَنْ يُرْفَعَ أَسْفَلَ أَيِ الَّذِي هُوَ أَسْفَلُ، وَعَلَى التَّقْدِيرِ هُوَ أَفْعَلُ، وَيَجُوزُ أَنْ يُجْعَلَ فِعْلًا وَهُوَ مَعَ فَاعِلِهِ صِلَتُهُ أَيِ الَّذِي سَفَلَ مِنَ الْإِزَارِ مِنَ الْكَعْبَيْنِ. وَقَالَ السُّيُوطِيُّ: وَيَجُوزُ كَوْنُ " مَا " شَرْطِيَّةً وَأَسْفَلَ فِعْلٌ مَاضٍ اهـ، وَهُوَ الْأَظْهَرُ، وَفِي غَيْرِهِ تَكَلُّفٌ مُسْتَغْنًى عَنْهُ، وَيُؤَيِّدُهُ رِوَايَتُهُ فِي الْجَامِعِ الصَّغِيرِ بِلَفْظِ: (فَفِي النَّارِ) قَالَ الْخَطَّابِيُّ: يُتَنَاوَلُ هَذَا عَلَى وَجْهَيْنِ، أَحَدُهُمَا: أَنَّ مَا دُونَ الْكَعْبَيْنِ مِنْ قَدَمِ صَاحِبِهِ فِي النَّارِ عُقُوبَةً لَهُ عَلَى فِعْلِهِ، وَالْآخَرُ: أَنَّ فِعْلَهُ ذَلِكَ فِي النَّارِ أَيْ هُوَ مَعْدُودٌ وَمَحْسُوبٌ مِنْ أَفْعَالِ أَهْلِ النَّارِ، قَالَ النَّوَوِيُّ: الْإِسْبَالُ يَكُونُ فِي الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ وَالْعِمَامَةِ، وَلَا يَجُوزُ الْإِسْبَالُ تَحْتَ الْكَعْبَيْنِ إِنْ كَانَ لِلْخُيَلَاءِ، وَقَدْ نَصَّ الشَّافِعِيُّ عَلَى أَنَّ التَّحْرِيمَ مَخْصُوصٌ بِالْخُيَلَاءِ لِدَلَالَةِ ظَوَاهِرِ الْأَحَادِيثِ عَلَيْهَا، فَإِنْ كَانَ لِلْخُيَلَاءِ فَهُوَ مَمْنُوعٌ مَنْعَ تَحْرِيمٍ، وَإِلَّا فَمَنْعُ تَنْزِيهٍ، وَأَجْمَعُوا عَلَى جَوَازِ الْإِسْبَالِ لِلنِّسَاءِ، وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَهُنَّ فِي إِرْخَاءِ ذُيُولِهِنَّ "، وَأَمَّا الْقَدْرُ الْمُسْتَحَبُّ فِيمَا يَنْزِلُ إِلَيْهِ طَرَفُ الْقَمِيصِ وَالْإِزَارِ فَنِصْفُ السَّاقَيْنِ، وَالْجَائِزُ بِلَا كَرَاهَةٍ مَا تَحْتَهُ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، وَبِالْجُمْلَةِ يُكْرَهُ مَا زَادَ عَلَى الْحَاجَةِ، وَالْمُعْتَادُ فِي اللِّبَاسِ مِنَ الطُّولِ وَالسِّعَةِ اهـ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ الْمُعْتَبَرَ هُوَ الْمُعْتَادُ الشَّرْعِيُّ لَا الْمُعْتَادُ الْعُرْفِيُّ. فَقَدْ رَوَى ابْنُ مَاجَهْ بِسَنَدٍ حَسَنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ يَلْبَسُ قَمِيصًا قَصِيرَ الْكُمَّيْنِ وَالطُّولِ، وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ عَسَاكِرَ عَنْهُ: " «كَانَ يَلْبَسُ قَمِيصًا فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ مُسْتَوِيَ الْكُمَّيْنِ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ» "، وَسَيَأْتِي فِي الْفَصْلِ الثَّانِي أَحَادِيثُ فِي هَذَا الْمَعْنَى. (رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ) : وَكَذَا النَّسَائِيُّ.
٤٣٣١ - وَفِي أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ: " «إِزْرَةُ الْمُؤْمِنِ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ، لَا جُنَاحَ عَلَيْهِ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَيْنِ، مَا أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ فَفِي النَّارِ " قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ " وَلَا يَنْظُرُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ.
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং৩৭৪ হাদিস নং৪৩৩১-[২৮] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, মু’মিনের ইযার (লুঙ্গি, পেন্ট ও পায়জামা) পায়ের অর্ধনলা পর্যন্ত থাকা চাই, তবে তার নিচে টাখনু বা গিরার উপর পর্যন্ত হওয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। কিন্তু টাখনুর নিচে যা যাবে তা জাহান্নামে যাবে। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ ইযার হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দৃষ্টি করবেন না।
[1] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪০৯৩, ইবনু মাজাহ ৩৫৭৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২০১৭, সহীহ আল জামি‘উস্ সগীর ৯২১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৯০, মুসনাদে আহমাদ ১১৩৯৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৪৭, শু‘আবুল ঈমান ৬১৩৩, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৪৭, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৫২০৪।

٤٣٣٤ - وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - «قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ ذَكَرَ الْإِزَارَ: فَالْمَرْأَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " تُرْخِي شِبْرًا "، فَقَالَتْ: إِذًا تَنْكَشِفُ عَنْهَا. قَالَ: " فَذِرَاعًا لَا تَزِيدُ عَلَيْهِ» " رَوَاهُ مَالِكٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ.
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং ৩৭৪ হাদিস নং৪৩৩৪-[৩১] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইযার সম্পর্কে আলোচনা করলেন, তখন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! এ ব্যাপারে মহিলাদের বিধান কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এক বিঘত পরিমাণ ঝুলাতে পারবে। তখন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বললেনঃ এমতাবস্থায় তার অঙ্গ (পা) খুলে যাবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তবে এক হাত তার অধিক যেন না হয়।

[1] সহীহ : মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৯২, আবূ দাঊদ ৪১১৭, সহীহ নাসায়ী ৫৩৩৬, ৪৯২৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৫১, ইবনু মাজাহ ৩৫৮০, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১৮৬৪, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৪৮৯০, শু‘আবুল ঈমান ৬১৪৩, মুসনাদে আহমাদ ৫১৭৩।

٤٣٦٨ - عَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: «مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفِي إِزَارِي اسْتِرْخَاءٌ. فَقَالَ: " يَا عَبْدَ اللَّهِ! ارْفَعْ إِزَارَكَ " فَرَفَعْتُهُ، ثُمَّ قَالَ: " زِدْ " فَزِدْتُ. فَمَا زِلْتُ أَتَحَرَّاهَا بَعْدُ. فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: إِلَى أَيْنَ؟ قَالَ: " إِلَى أَنْصَافِ السَّاقَيْنِ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৪৩৬৮-[৬৫] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে সময় আমার ইযার ঝুলানো ছিল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! তোমার ইযার উঠিয়ে নাও। তখনই আমি তা উঠিয়ে নিলাম। অতঃপর বললেনঃ আরো উঠাও। আমি আরো উঠালাম। এরপর হতে আমি সর্বদা তা উপরে বাঁধতে চেষ্টা করতাম। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করল, কতটুকু উপরে উঠাতে হবে তিনি বললেন, দু’ পায়ের অর্ধ নলা পর্যন্ত। ([1] সহীহ : মুসলিম ৪৭-(২০৮৬), নাসায়ী ৫৩২৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৩৬, সহীহুল জামি‘ ৬৬৩৪, আহমাদ ১০৫৬২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৬৪৮, ‘নাসায়ী’র কুবরা ৯৬৮৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৬৮৮।

٤٣٣٢ - وَعَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «الْإِسْبَالُ فِي الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ وَالْعِمَامَةِ، مِنْ جَرَّ مِنْهَا شَيْئًا خُيَلَاءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» ". رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ.
মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং ৩৭৪ হাদিস নং৪৩৩২-[২৯] সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইযার, জামা ও পাগড়ীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ তার কোন একটিকে হিঁচড়িয়ে চলবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার দিকে তাকাবেন না। ([1] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪০৯৪, নাসায়ী ৫৩৩৪, ইবনু মাজাহ ৩৫৭৬, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৪৮৪০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২০৩৫, আল জামি‘উস্ সগীর ৪৫৩৬, সহীহুল জামি‘ ২৭৭০, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৩০৩১।

উল্লেখিত ৮-টি হাদীসে টাখনুর ওপর কাপড় পরিধানের ক্ষেত্রে সাধারণ বিধান বর্ণিত হয়েছে। এখানে বলা হয়নি যে শুধু নামাজের সময় টাখনুর নিচের কাপড় ওঠাতে হবে বা টেনে পড়তে হবে। তাই পরিধেয় পোশাক যেমন পায়জামা, প্যান্ট, লুঙ্গি ইত্যাদি সর্বাবস্থায় টাখনুর ওপরে পরিধান করা আবশ্যক। বিষয়টি নিজে অনুধাবন করে আমল করুন এবং অন্যকে এর কঠিক শাস্তির ব্যাপারে সতর্ক করুন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবার সহায় হোন। আমিন
বি.দ্র. : মহিলারা সর্বাবস্থায় টাখনুর নিচে কাপড় পরবেন।